বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়

 



বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে হলে আমাদের প্রথমে ঘরোয়া ভাবে জানতে হবে বাচ্চার কৃমি হয়েছে কি না। বাচ্চার হঠাৎ ক্ষুধা পায় না, ঘুম আসে না, এবং প্রচুর কান্না করে এগুলো কি সাধারণ পেটে ব্যথা নাকি কৃমির কারণে তাদের অস্থিরতা এইসব নানা ধরনের চিন্তাভাবনা নিয়ে বাবা-মার অনেক টেনশনে ঘিরে থাকে।
বাচ্চাদের-কৃমি-দূর-করার-ঘরোয়া-উপায় .webp


বাচ্চারা তাদের শারীরিক যন্ত্রণার কথা বুঝিয়ে বলতে পারেনা। কিন্তু তা সহজেই তাদের অস্থিরতাতে জানান দেয় অথচ ঘরে বসে কিছু সহজ নিরাপদ উপায়ে কৃমি থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। এই ব্লগে আপনারা জানতে পারবেন  বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়।

পোস্ট সূচীপত্রঃ বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় 

 বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়

বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় নিম্নে উপস্থাপন করা হলঃ 

  • কাঁচা পেঁপে মহা ঔষধঃ বেশি করে কাঁচা পেঁপে খাওয়া কারণ কাঁচা পেঁপের মধ্যে পাপাই নামক এক ধরনের এনজাইম থাকে যে কৃমি প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে থাকে। এই পেঁপে কখনো কাঁচা সালাতের মাধ্যমে খাওয়ানো যেতে পারে অথবা খিচুড়ির সাথে মিশিয়ে অথবা তা ফুটিয়ে নরম করে শুধু শুধু লবণ দিয়ে খাওয়ায় দিলে অনেকটা আরাম পাওয়া যেতে পারে।
  • রসুন এর ব্যাবহারঃ প্রতিদিন খাবারের মধ্যে কিছু পরিমাণ রসুন রাখা উচিত কারণ রসুন হচ্ছে অ্যান্টি প্যারাসাইটিক অর্থাৎ রসুনের উপস্থিতিতে যে কোন প্যারাসাইটিক জীবাণু য বেশিক্ষণ যুদ্ধ করে থাকতে পারে না।
  • আদা ও লং এর রসঃ খাদ্যের মধ্যে প্রতিনিয়ত লং এবং আদা রাখা উচিত কারণ লং এবং আদা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে ফলে অন্তরে উপস্থিত কৃমির জন্য তা কি সমস্যার কারণ হতে পারে তাদের পুষ্টি ঘাটতি করতে পারে ফলে তাদের মধ্যে সংক্রমণতা কমতে থাকতে পারে।
  • হলুদ এর জাদুঃ কাঁচা হলুদ অথবা হলুদের গুঁড়া যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বা পরজীবীর জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক বলে প্রমাণিত হয় কারণ এতেই আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা বিভিন্ন ধরনের পরজীবীদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।।
  • নারিকেলের বিভিন্ন ব্যাবহারঃ নারিকেলের কুচি অথবা নারকেল খেয়েও অনেক সময় কৃমি জাতীয় পরজীবীদের প্রতিরোধ করা হয়ে থাকে। নারিকেলে থাকে লরিক এসিড ও ক্যাপরাইক এসিড যা কৃমি ও অন্যান্য পরজীবীর বিরুদ্ধে কাজ করে।
  • কুমড়ার বীজঃ শিশুদের জন্য কুমড়োর বীজের তুলনা হয় না।  বীজে রয়েছে কিউকারবিটাসিন নামক এক ধরনের পদার্থ যা কিনা যেকোনো ধরনের পরজীবীর বিপরীতে কাজ করে থাকে। তাছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। 
  • গাজর হতে পারে প্রতিরক্ষকঃ যদি কোন বাচ্চা উপরোক্ত কোন খাবার খেতে না পারে তবে প্রতিরোধক হিসেবে তাদেরকে গাজর খাওয়ানো যেতে পারে কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন এ যা কিনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের মধ্যে বাড়িকে তোলে সে ক্ষেত্রে পরজীবীদের বিপরীতে প্রতিরোধক মূলক ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য গাজরের বিকল্প নেই।

কৃমি এর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা 

কৃমি হলো এক ধরনের পরজীবী যা মানুষের অন্তস্থ অন্তরে বসবাস করে সেখান থেকে পুষ্টি উপার্জন করে এবং তার বংশবিস্তার করে থাকে। মূলত অনেক ছোট আকারের হয় এবং বড় উভয় আকারেরই হতে পারে। কয় ধরনের হয়ে থাকে কিন্তু শিশুদের মধ্যে ফিতা কৃমি ও সুতা কৃমি এর সংখ্যা বেশি দেখা যায় । ফিতা কৃমিকে চ্যাপ্টা কৃমিও বলা হয়ে থাকে। এদের দৈর্ঘ্য সাধারণত কয়েক ইঞ্চি থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এরা পরজীবী হওয়ার কারণে সবসময় অন্য প্রাণীর অন্তরেই পেতে পাওয়া যায়। একটি নির্দিষ্ট সীমানা পার করার পর তাদের উপদ্রব এর বাহ্যিক প্রভাব দেখা যায়। 

আরো পড়ুন ঃ বাচ্চাদের চুলকানির অজানা কারণ।

শিশু কৃমি দ্বারা আক্রান্ত কিনা বুঝার উপায়

কৃমির পরিমাণ অনেক অল্প পরিসরে থাকলে অনেক সময় এর উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ সচেতনতার সাথে শিশুদের প্রতি যত্নবান হতে হবে। বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়  জানা থাকলে সহজেই এর বিস্তার প্রতিহার করা সম্ভব।

বাচ্চাদের-কৃমি-দূর-করার-ঘরোয়া-উপায় .webp

শিশুদের মধ্যে কৃমি আছে কিনা তা কিভাবে বুঝবেন নিচে দেওয়া হল; 

  • শিশুদের মধ্যে মুখে লালা এর পরিমাণ বেড়ে যাবে ।
  • শিশুদের মুখে থুথু এর পরিমাণও বেড়ে যাবে কারণ মুখে লালা সংক্রমণ বাড়তে থাকবে।
  • শিশুদের মল প্রচন্ড দুর্গন্ধযুক্ত হবে কেননা পেটের মধ্যে থাকা ক্রিমি সঠিকভাবে খাদ্য পরিপাক কে বাধাগ্রস্থ করে।
  • স্ত্রী ফিতা কৃমি সাধারণত মলদ্বারে এসে ডিম পাড়ে এজন্য বাচ্চাদের মলদ্বারে জ্বালাপোড়া ব্যথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। 

কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন 

বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানার পূর্ব শর্ত হলো বাচ্চাদের লক্ষণসমূহ যা বিচার করে নেওয়া। কিছু লক্ষণ নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ
  • পেটে ব্যথা
  • ডায়রিয়া 
  • অবসাদ
  • বমি বমি ভাব
  • পেট ফুলে যাওয়া
  • মেজাজ মিজাজ খিট মিটে হওয়া
  • খাবারের প্রতি অনীহা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া
  • ঘন ঘন গ্যাস ও পেট ফাঁপা
  • আচরণগত পরিবর্তন।

বাচ্চাদের কৃমি হওয়ার কারণ সমূহ 

বাচ্চাদের অনেক তাড়াতাড়ি ক্রিমি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে কারণ তাদের মধ্যে সঠিক এবং পরিচ্ছন্নভাবে খাবার ক্ষমতা কম থাকে ।  শিশু হওয়ার কারণে তারা সঠিক বাছবিচার করে খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না বিধায় যে কোন খাবারের মাধ্যমে তাদের মধ্যে কৃমির সংক্রমণ দেখা যেতে পারে। বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে তা থেকে মকাবেলা করা সম্ভব। নিম্নে বিশেষ কিছু কারণ গুলো উল্লেখ করা হলোঃ
  • পৃষ্ঠতলের সংস্পর্শে থাকা
  • ফলমূল না ধুয়ে খেয়ে ফেলা
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে
  • আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে
  • যে কোন জায়গায় যাতায়াতের সুবিধা থাকলে
  • ময়লা পানি পান করলে
  • ভালোভাবে ফুটিয়ে কোন খাবার না খেলে। 

আরো পড়ুন ঃ বাচ্চাদের চুলকানির অজানা কারণ।

কৃমির থেকে বাচার জন্য চিকিৎসা  

বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়  প্রয়োগ এর পাশাপাশি উচিৎ চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হওয়া। ডাক্তারদের মতে সর্বপ্রথম চেষ্টা করা উচিত যাতে কোন শিশুই কৃমি দ্বারা আক্রান্ত না হয় ,কিন্তু তারপরেও যদি আক্রান্ত হয়ে যায় তবে সেটার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ বয়স লিঙ্গ ভেদে চিকিৎসা ভিন্ন ধরনের হতে পারে। তবে অবশ্যই আক্রান্ত শিশু ছাড়াও পরিবারের সকল  সদস্যদেরও একই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

কারণ পরিবারের একজনেরও শরীরে পরজীবী হিসেবে কৃমির থেকে গেলে পরবর্তীতে তারা ডিম পাড়ার মাধ্যমে পুনরায় পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তিদের আক্রান্ত করতে পারে সুতরাং পরিবারের সকলকে একসাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে কৃমির বিস্তার বন্ধ করতে হবে।

সাধারণত কৃমির ওষুধ একদিনের জন্য হতে পারে, অথবা পুনরায় সাত দিন ব্যবধানে একদিন করে হতে পার্‌ অথবা একদিনে দুটি করেও হতে পারে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাস্থ্যের উপরে এবং এটি পরামর্শ শুধুমাত্র ডাক্তারগনই দিতে পারবেন সাধারণত এক বছরের উপরের শিশুদের কৃমির ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। 

এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। শিশুরা যাতে প্রতিনিয়ত ওই সকল ওষুধের কোর্স কমপ্লিট করে এই দিকে পরিবারের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।  

বাচ্চাদের ওপরে কৃমির ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

প্রত্যেকটা বাহ্যিক জিনিসেরই শরীরের ওপরে ক্রিয়া এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে ঠিক একইভাবে কৃমির ওষুধেরও রয়েছে। যখন আমরা বাইরে থেকে কোন উপাদান গ্রহণ করি সেটি শরীরের মধ্যে খাপ খাওয়ানোর জন্য দীর্ঘ সময় লাগে আবার কোন জিনিস উল্টো কাজ করতে শুরু করে। কৃমির ওষুধের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ।অনেক সময় আবহাওয়া অনেক কঠিন এবং তাপমাত্রা বেশি হয়ে যেতে পারে ফলে চিকিতসকের সাথে বিশ্লেষণ করে নেওয়া উচিত। প্রথমে বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করে কৃমি ধ্বংস করা অতঃপর ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ সেবন করে তা নির্মল করা।

অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি ওষুধ আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাস্থ্য বয়স এবং লিঙ্গ ভেদে প্রদান করা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে অবহেলা শরীরকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ দিকে নিয়ে যেতে পারে । সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় কখনোই পার্শপ্রতিক্রিয়া যুক্ত হবে না যদি না আক্রান্ত ব্যক্তিটি বিশেষভাবে কোন খাদ্যে এলার্জিক হয়ে থাকে।

কৃমি প্রতিরোধ করার সহজ উপায়

বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়ে জানার সাথে সাথে আমাদের জানতে হবে কৃমি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় কেননা অবশ্যই প্রতিভারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। 

বাচ্চাদের-কৃমি-দূর-করার-ঘরোয়া-উপায়.webp

 নিম্নে কৃমি প্রতিরোধের কিছু উপায় বিশ্লেষণ করা হলোঃ
  • সর্বদা পরিষ্কার খাদ্য গ্রহনঃ কৃমি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে প্রধান রাস্তা হচ্ছে মুখঃবিবর। সুতরাং প্রথমেই বাচ্চা কিভাবে এবং কোন কোন জিনিস খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে তার প্রতি নজর দিতে হবে। বাচ্চার খাদ্য অবশ্যই সব সময় ফুটিয়ে এবং ধুয়ে খাওয়াতে হয়। তাছাড়া প্রয়োজনে সব খাদ্য গরম করে জীবাণুমুক্ত করে খেলে সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া যায়। 
  • ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাঃ সুস্থ ও স্বাভাবিক প্রত্যেকটি বাসায় সর্বদা উচিত পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করে রাখতে প্রয়োজনে প্রত্যেকদিন ডিটারজেন্ট বা ফিনাইল দিয়ে ঘরের মেঝে যথাযথভাবে পরিষ্কার করার প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত কেননা এইসব কৃমি অপরিষ্কার জায়গাতেই বাসা পেতে থাকে এবং পরবর্তীতে পরজীবী হিসেবে অন্যদের শরীরে আশ্রয় গ্রহণ করে।
  • হাত ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলাঃ অবশ্যই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের শেখানো উচিত হাত এবং হাতের নখ ভালো করে পরিষ্কার করে খেতে বসা এবং বাবা মারও উচিত সেই সাথে নিজেদেরও একই অভ্যাস গড়ে তোলা কেননা হাতের মাধ্যমে বিভিন্ন পরজীবী শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে থাকে।
  • মলত্যাগের পরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলাঃ প্রত্যেকটি পরজীবী অথবা ব্যাকটেরিয়া প্রাণীর শরীরের মলদ্বারে বসবাস করে থাকে। তাই শিশুসহ বাড়ি প্রত্যেককেই অবশ্যই মলত্যাগের পরে ভালোভাবে হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। কারণ এই অপরিষ্কার হাত থেকেই পরজীবীরা পুনরায় শরীরে প্রবেশ করতে পারে অথবা অন্যদের আক্রান্ত করতে পারে।
  • নখ ছোট রাখাঃ অনেক ধরনের কৃমি রয়েছে যা কিনা পায়ের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই বাচ্চাদের খালিপায়ে হাঁটতে দেওয়া যাবে না এবং সর্বদা তাদের হাত এবং পায়ের নখ ছোট করে রাখতে হবে।
  • বিশুদ্ধ পানি পান করাঃ প্রত্যেকটি পরিবারের উচিত শিশুসহ বাড়ির সকলের পানি ফুটিয়ে তা ঠান্ডা করে ফিল্টার করে পান করা কেননা বাইরে থেকে পানির মাধ্যমে পরজীবীরা অতি সহজেই শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে থাকে সেক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানি পান করা আবশ্যক।

বাচ্চাদের শরীরের ওপর কৃমির ভয়াবহতাঃ

কৃমি একটি অত্যন্ত ছোট পরজীবী হলেও তা মানব শরীরে অনেক বড় বড় ক্ষতি করতে পারে কেননা তারা সুপ্ত অবস্থাতে অনেক ছোট থাকে এবং পরবর্তীতে তাদের দৈর্ঘ্য ভারতে শুরু করেন ফলে তাদের হাতে বংশবিস্তারে শুরু হয় এবং কৃমির সংখ্যা আস্তে আস্তে শরীরের মধ্যে বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত কৃমি হয়ে গেলে মানব শরীরে প্রত্যেকটা অন্তস্থ অঙ্গের অনেক ক্ষতি হয় । শরীরের যাবতীয় পুষ্টি উপাদান তারা শোষণ করে ফেলে এবং যে কোন শিশু পরিমাণে থাকে খাদ্য এবং পুষ্টিকর উপাদান দেওয়া হোক না কেন তারা সর্বদাই পুষ্টিহীনতায় ভুগতে থাকে যা তাদের শরীরকে অনেক বেশি দুর্বল করে তোলে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদম কমিয়ে ফেলে।

এছাড়াও কৃমি যখন পাকস্থলী অথবা অন্তঃস্থ এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গানুতে পরিভ্রমণ করা শুরু করে তখন তা ধীরে ধীরে অন্যান্য অঙ্গানুরূপ ক্ষতি করতে থাকে যার ভয়াবহতা ব্যাপক কেননা প্রত্যেকটা অঙ্গানুর যদি তারা পুষ্টি উপাদান হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করে তবে শরীরের মধ্যে সে সকল কার্যকারিতা বন্ধ হতে থাকে এবং সঠিক সময়ে যদি এটি ধারণা করে তবে কৃমি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঢুকিয়ে ফেলতে পারে।

কৃমি কোন সাধারণ পরজীবী নয় এর দ্বারা যথাযথাই মানুষ অনেক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে এমনকি কৃমি ভিতরে পরিভ্রমণ করে মস্তিষ্ক পর্যন্ত গিয়ে মস্তিষ্ক এর ক্ষতি করে যা অনেক অল্প সময়ের মধ্যে মানব শরীরকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে দিতে পারে। 

বাচ্চাদের যেহেতু খারাপ ও ভালোর জ্ঞান থাকে না সেও তো প্রত্যেক বাবা-মার উচিত তাদের প্রতি বিশেষ ভাবে যত্নশীল হওয়া যেন কোনভাবেই তারা কৃমি দ্বারা আক্রান্ত না হয়। বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে তারা ক্রিমের প্রতি সহজে লড়াই করতে পারে না। বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় অবলমন করে খাদ্য খাওয়ানো উচিত এবং যথাযথই প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিকার করা উচিৎ ।

শেষ কথাঃ বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় 

প্রিয় পাঠক আমরা উপরোক্ত ব্লগে বাচ্চাদের কৃমির দূর করার উপায়, কৃমির প্রতিরোধের উপায় এবং প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আমার মনে হয় প্রত্যেক বাচ্চাকে উচিৎ সর্বদা সুষম খাদ্য দিয়ে তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলা। 

বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় সকল জাতীয় ফলমূল, কাঁচা পেঁপে, রসুন, আদা, হলু্‌ গাজর অল্প অল্প করে হলেও প্রত্যেকটি খাবারের মধ্যে মিশিয়ে খাওয়ানো উচিত ফলে তারা কৃমি থেকে বাঁচতে পারার সাথে সাথে অন্যান্য যে কোন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url