শিশুদের স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায় - একটি অজানা আতঙ্ক

শিশুদের স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায় জানতে হলে এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা জরুরি। বাচ্চাদের গায়ে অনেকসময় ঘামাচির মত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানা দেখা যায় যা আমরা বেশিরভাগ সময় দেখেও না দেখা করে রেখে দেই। কিন্তু আমাদের সব চেয়ে বড় ভুল এইখানেই।

শিশুদের স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায়.webp
এই সাধারন ছোট ছোট দানাদার  ঘামাচিগুলো এক সময় শিশুদের পুরো শরীররে বিস্তার করে এবং প্রচণ্ড চুলকানি শুরু করে। কিন্তু এগুলো আসলে ঘামাচি নয় , এটি সাধারনত স্ক্যাবিস  নামক একধরনের জীবাণু দ্বারা সংঘটিত হয়।এই আর্টিকেলটি শিশুদের অজানা আতঙ্ক স্ক্যাবিস এর লক্ষন,ভয়াবহতা , প্রতিরোধ ও বিকল্প চিকিৎসা নিয়ে আলচনা করবে। শিশুদের সুরক্ষাই এর আসল উদেশ্য।

পোস্ট সূচীপত্র ঃশিশুদের স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায়

শিশুদের স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায়

স্ক্যাবিস একটি ত্বকের সংক্রমণ রোগ যা ক্ষুদ্র পরজীবী দ্বারা হয়ে থাকে। সাধারণত শরীরে ছোট ছোট দানাদার চুলকানি ও ফুসকুড়ি মাধ্যমে এটি প্রকাশ পায়। এটি মানুষের মধ্যে অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে প্রবণতা বেশি কারণ শিশুর অনেক সহজেই অনেক মানুষের সংস্পর্শে চলে যায়। শিশুদের স্ক্যাবিস থেকে মুক্ত কিছু কার্যকারি দিক তুলে ধরা হলোঃ
  • ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবেঃ স্ক্যাবিস শিশুদের জন্য অনেক সেনসিটিভ একটি রোগ। যতদ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শে এর জন্য প্রয়োজনে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
  • পুরো পরিবারকে একসাথে চিকিৎসা করতে হবে।
  • জনসমাগম থেকে শিশুকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
  • শিশুর এবং সম্পূর্ণ বাসার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
  • ব্যবহৃত ওষুধ ও চেষ্টা সম্পন্ন কোর্স শেষ করতে হবে।
  • চুকা নিয়ে জন্য প্রয়োজনে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করলে শিশুরা কিছুটা আরাম বোধ করে।

শিশুদের স্ক্যাবিস কিভাবে হয়

স্ক্যাবিস পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত রোগ । কিছু মাইট আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ যেকোন ব্যক্তির শরীরে গমন করে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়। শিশুদের ক্যাবেজ হাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক কারণ সমূহ নিচে ব্যাখ্যা করা হলোঃ
  • শিশুরা জন্ম পর থেকে অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসে। ফলে খুব সহজেই আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থাকা মাইটগুল শিশুর শরীরে আক্রমণ করে এবং ধীরে ধীরে তা সম্পূর্ণ শরীরে তার বংশবিস্তার করে।
  • শিশুদের যদি সঠিকভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখা হয় অর্থাৎ সঠিক সময় গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার না করলে ময়লা আবর্জনা বাসা বাধে ফলে যে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই আক্রমণ করতে সক্ষম হয়।
  • শিশুদের কাপড় প্রতিদিন ধুয়ে রোদ না দিলেও ব্যাকটেরিয়া জনিত সমস্যা আরো বেড়ে যায়। কারণ রোদের তাপে অনেক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়।
  • শিশুদের বাছ বিবেচনা না করে সকলের করে দিয়ে দিলে সহজেই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
  • শিশুদের হাতেরও পায়ের নখ বড় রাখলে যে কোন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • শিশুদের যথাযথ পরিমাণে রোধের সংস্পর্শে না আনলে শুধুমাত্র ঘর বন্দী করে রাখলে তাড়াতাড়ি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়।
  • শিশুদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র শেয়ার করলে কেবিসের ব্যাকটেরিয়া সহজেই আক্রমণ করতে পারে।
  • শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে সেজন্য এই সকল ফ্যাক্টরি অনেক দ্রুত আক্রমণ করতে সক্ষম হয়।

স্ক্যাবিস এর প্রাথমিক লক্ষণ ও উপসর্গ 

স্ক্যাবিস অত্যন্ত সংক্রামক রোগ যে একটি ক্ষুদ্র পরজীবী দ্বারা হয়ে থাকে। এই পরজীবীটি ত্বকের ভিতরে ঢুকে ডিম পারে এবং সেখানে বাসা বাধে ফলে শরীরে কিছু অস্বস্তিকর উপসর্গ দেখা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ উপসর্গ সনাক্ত করা গেলে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয়। শিশুদের থেকে মুক্তির উপায় জানতে হলে প্রথমে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে প্রাথমিক লক্ষণ ও উপসর্গের উপরে। উপসর্গ বর্ণনা করা হলোঃ
  • তীব্র চুলকানিঃ বিশেষ করে রাতের বেলা শরীরের শিশুরে তীব্র ভাবে চুলকানি শুরু হবে। কারণ রাতের বেলায় এই মাইট গুলো বেশি সক্রিয় হয়। শিশুরা এ ক্ষেত্রে কান্নাকাটি ও অস্থির আচরণ করতে পারে।
  • ছোট ছোট দানা বা ফুসকুড়িঃ চুলকানির সাথে ত্বকের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট দানা বা ফুঁসলের মত দেখা যায়। অনেক সময় একটি জায়গায় অনেকগুলো ফুসকুড়ি হতে পারে অথবা পুরো শরীরে অল্প অল্প করেও এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
  • আঁকাবাঁকা গর্তের দাগঃ মাইট গুল ত্বকেরনিচে আঁকাবাঁকা গর্তের সৃষ্টি করে ফলে ত্বক এ সাদা ধূসর গর্ত দেখা যায়। প্রধানত এটিকে এ রোগের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়,
  • ধীরে ধীরে পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে । 
  • উপসর্গের বৃদ্ধিঃ মাইটগুলো শরীরের প্রতিটি স্থানে ছড়িয়ে পড়লে চুলকানি সহ অন্যান্য উপসর্গগুলো আরো বেশি বেড়ে ছেঁটে থাকে এবং সেতুর মধ্যে অস্থিরতা  ভাব বেড়ে যায়.

কখন ডাক্তার দেখানো জরুরি 

স্ক্যাবিস সাধারণ কিন্তু দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রোগ। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি করলে অনেক উপসর্গই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট  উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।

বিশেষ করে যখন বাচ্চাদের মধ্যে চুলকানির প্রভাব বেড়ে যাবে এবং তারা প্রচুর পরিমাণে কান্নাকাটি শুরু করবে তখন জরুরিভাবে ডাক্তার দেখানো উচিত। কেননা শুধু মাত্র মেডিকেল ট্রিটমেন্ট দিয়ে এই ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস করা যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় প্রথমে বেশি চুলকানি হয় না কিন্তু ধীরে ধীরে চুলকানি বাড়তে শুরু করে ঠিক তখনই চিকিৎসকের অধীনে চলে যাওয়া উচিত।

বাচ্চাদের শরীরে যখন ছোট ছোট দানাদার জিনিসগুলো পুরো শরীর ছড়িয়ে দেখা যাবে এবং বেশিরভাগ লালচে হয়ে থাকবে তখন বোঝা যায় ব্যাকটেরিয়া গুলোর আক্রমণ প্রকোপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং যথাযথ সময়ের মধ্যে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া অত্যাবশ্যকীয়।

খেয়াল করলে দেখা যাবে পরিবারে কোনো শিশু আক্রান্ত হলে কিছুদিনের মাথাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্য গুলো আক্রান্ত হতে শুরু করে অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়ার ছড়ানোর মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায় এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পুরো পরিবারকে এই ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করতে হবে।

অনেক সময় কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমেও এ সকল উপসর্গকে অনেকটা ধীর গতিসম্পন্ন করা যায় কিন্তু অবশেষে যদি কাজে না দেয় তবে ডাক্তার পরামর্শকৃত ঔষধ সেবন করতে হবে।

স্ক্যাবিস এর আসল চিকিৎসা 

স্ক্রাপিসের চিকিৎসা সাধারণত দুইভাবে হয়ে থাকে। একটি মুখে ওষুধ সেবন করে অপরটি আক্রান্ত স্থানে মলম লাগিয়ে। কেবিস দ্বারা কেউ আক্রান্ত হলে অবশ্যই প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে অতঃপর ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ গ্রহণ করতে হবে ।

অবশ্যই স্কাবিশে চিকিৎসা বয়স ভেদ অথবা সংক্রমণের আক্রমণ এর পরিস্থিতি বিবেচনা করে হয়ে থাকে। কখনো শুধু মৌখিক ওষুধ দেওয়া এটা সিরে যেতে পারে অথবা কখনো মলম লাগিয়েও এর থেকে উপশম পাওয়া যায় অথবা দুটি প্রয়োগ করা হতে পারে।

সাধারণত ত্বকে সপ্তাহ অন্তরে দুইবার লাগাতে হয় । পুরনো সংক্রমণ রোধ করার জন্যই এটি করা হয়। চিকিৎসকেরা সের ওষুধ হিসেবে পারমেথ্রিন  ৫ % ক্রিম ঘাট থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ শরীরে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে।

ঘরোয়া উপায়ে স্ক্যাবিস থেকে মুক্তি 

স্ক্যাবিস্ব একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ বলে শিশুদের স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে। ডাক্তারি চিকিৎসা সব সময় সবচেয়ে কার্যকর, তবে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা ক্যাবিসির উপসর্গ উপসম সহায়তা করতে পারে। চলুন কিছু পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাকঃ
  • চায়ের পাতার তেল ঃ এটি একটি ভেষজ তেল। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও এন্টি প্যারাসাইটিক উপাদান। যা স্কেবেসের মাইকগুলো ধ্বংস করতে সক্ষম।
  • নিম পাতা বাটাঃ নিমের পাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি প্যারাসাইটিক। আক্রান্ত শিশুর ঘা গুলোর উপরে নিমের পাতা বেটলাগিয়ে ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করে তা মুছে ফেললে অথবা নিম পাতার পানি দিয়ে গোসল করলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।
  • অ্যালোভেরা তেলঃ গুলো ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্ক করে তোলে যা ত্বকের জ্বালাপোড়া আরো বাড়িয়ে দেয়। অ্যালোভেরা তেল দিয়ে একটু মালিশ করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমতে পারে।
  • লবণ পানিঃ লবণ পানি এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল হওয়ার কারণে হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গোসল করানো গেলে আরাম পাওয়া যায়।
শিশুদের স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায়.webp
ঘরোয়া চিকিৎসায় প্রাথমিক উপশম এ সহায়ক হলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শুধুমাত্র এগুলোর উপর নির্ভর করা উচিত নয়। সংক্রামক ছড়ানো ব্যবহার করা বিছানা তোয়ালে জামা কাপড় সব গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে হবে।

স্ক্যাবিস প্রতিরধে পরিছন্নতার গুরুত্ব 

স্ক্যাবেজ প্রতিরোধে পরিছন্নতার কোন বিকল্প নাই। এছাড়াও যে কোন ব্যাকটেরিয়ায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় বাসা বাঁধতে পারে না। বিশেষ করে যেগুলো নৃত্য প্রতিদিনের ব্যবহারে জিনিসপত্র সেগুলোকে যদি পরিষ্কার রাখা হয় তাহলে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া শরীর আক্রমণ করতে পারবে না।

প্রতিদিন যদি শিশুসহ পরিবারের সকলের পোশাক যদি গরম পানিতে ফুটিয়ে ডিটারজেন্টের সাথে দেওয়া হয় তবে কোন রকম জার্ম কাপড়ে লেগে থাকতে পারবেনা এবং ত্বকের সংস্পর্শে এসেও কোনরকম বিক্রিয়া ঘটাতে পারবে না।

প্রত্যেক সপ্তাহের অন্তরে অন্তত একদিন বিছানার চাদরসহ সকল বালিশের কভার ধুয়ে পরিষ্কার করে কড়া রোদে শুকিয়ে নেওয়া উচিত সকল জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যায় এবং সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যাবে।

প্রত্যেকদিন ঘর মুছামুচি করা উচিত কেন না বাইরে থেকে আসার পর সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া ঘরের ফ্লোরে বিছিয়ে পড়ে। প্রতিদিন যদি ফিনাইল বা ডেটল দিয়ে ঘরের ফ্লোর মোছা হয় তবে ব্যাকটেরিয়া গুলোকে দমন করা যায়।

বাচ্চা বাচ্চা সহ পরিবারের সকলের ব্যবহার করা তয়লা অথবা গামছা ও সপ্তাহে অন্তত তিনবার গরম পানিতে ব্লিচিং বা ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে করা রোদে শুকানো উচিত।

বাচ্চাদের শরীরে ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য তাদের রোদে নিয়ে বসা এবং পরিষ্কার জায়গায় খেলাধুলা করার প্রতি উদ্যোগ সৃষ্টি করা উচিত। এবং প্রত্যেকদিন তাদের গোসলে কিছু পরিমাণ এন্টি ব্যাকটেরিয়াল পদার্থ মিশিয়ে দেওয়া উচিত।

শিশুদের ত্বকের স্ক্যাবিসের প্রভাব ও সুরক্ষা

শিশুদের অত্যন্ত কমল ও নমনীয় হয়ে থাকে। তাদের ত্বকের বিশেষ যত্ন না নিলে খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের অসুখ বাসা বাধতে শুরু করে। বিশেষ করে স্ক্যাবিস এর মত রোগ এর কারনে শিশুদের ত্বক আরও বেশি অমসৃণ হয়ে যায় কারণ এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া টোকে বাসা বেধে সুড়ঙ্গ ও খাদ তৈরি করে গড়ে ত্বকের মসৃণতা হারিয়ে যায়।

শিশুদের স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায়.webp
নিম্নে সুরক্ষার কিছু দিক আলচনা করা হলঃ
  • প্রত্যেকদিন শিশুদের শরীরে মইসচরাইজার ব্যাবহার করতে হবে।
  • প্রতিদিন রাতে নারিকেলের তেল হাল্কা গরম করে পুরো শরীরে মালিশ করতে হবে।
  • গোসলের পরে একবার অলিভ এর তেল দিয়ে শরীর মালিশ করতে হবে ।

পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে বাকিদের করনীয় 

স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসলে যে কেও আক্রান্ত হতে পারে সুতরাং বাড়িতে কেও এর দ্বারা আক্রান্ত হলে বাকি সদস্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ করনীয় থাকে ।সকলকে একসাথে হয়ে এই ব্যাকটেরিয়ার মকাবেলা করতে হয় নাহয় পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । নিম্নে কিছু করনিয় দাওয়া হলঃ
  • স্ক্যাবিস এর চিকিৎসা শুরু হলে আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে সাথে পরিবারের সকলের চিকিৎসা নাওআ উচিৎ।
  • পুরো পরিবারের কাপড় একসাথে ৭ দিন গরম পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ।
  • বাড়ির সকল বিছানার চাদর গরম পানিতে ধুয়া উচিৎ।
  • সকলের তয়লা গামছা ধুয়ে ফেলা উচিৎ।
  • সকলকে একসাথে চিকিতসার আওতায় আশা উচিৎ।

শেষ কথাঃ শিশুদের স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায়

প্রথমত সকলকেই বেশি জনসমাগম এরিয়ে চলা উচিৎ বিশেষ করে শিশুদের। যদি একবার  শিশু এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যায় তবে যত দ্রুত সম্ভব সকল উপরক্ত লক্ষণ ও দিক বেবচনা করে ডাক্তার এর  নিকট দাওা উচিৎ। কেননা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে এবং এর ব্যাকটেরিয়া শিশুর কিডনী সহ অন্যান্য অঙ্গ তেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url