মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম জানতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে মরিঙ্গা
আসলে কি এবং প্রাকৃতিক কোন কোন উপাদান দিয়ে পরিপূর্ণ ।প্রকৃতির অমূল্য ভাণ্ডারে
লুকিয়ে থাকা এক প্রকার অম্রিত বলা হয়ে থাকে এই মরিঙ্গা/সজনে পাতাকে।
মরিঙ্গা/ সজনে পাতার মাধ্যমে যে পাউডার তৈরি করা হয় তাকেই মূলত মরিঙ্গা পাওডার
বলা হয় । চলুন দেখে নাওয়া যাক কিভাবে এই সাধারন একটি গাছের পাতা হয়ে উঠেছে জাদুকর
গাছের পাতা এবং কেন এর নাম হয়ে উঠেছে " মিরাকল ট্রি পাওডার " ।
পোষ্ট সূচীপত্র ঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা ২০২৫
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা ২০২৫
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসাব হল এর ডোজ ,
পরিমান ও সময় । যদি সঠিক উপায় এ ৩ টি নিয়ম মানা যায় তবেই মিলবে এর আসল উপকারিতা।
বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন ।
আমাদের শরীরে যেকোনো ধরনের বাহ্যিক পদার্থ গ্রহণ করার ক্ষমতা অনেক স্বল্প
থাকায় যেকোনো পদার্থ অনেক সাবধানতার সাথে গ্রহণ করতে হবে। ঠিক একইভাবে
মরিঙ্গা পাউডার যখন প্রথমে খাওয়া শুরু করবেন অবশ্যই প্রথমে অল্প
পরিমাণ দিয়ে শুরু করতে হবে। পরবর্তীতে এর ডোজ বাড়ানো যেতে পারে। বিশেষ করে হাফ
চামচ মাঙ্গা পাউডার প্রথমে ব্যবহার করা উত্তম । প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এক
চামচ যথেষ্ট ।
মরিঙ্গা পাউডার কি এবং কেন খাব
মরিঙ্গা পাউডার তৈরি হয় সাধারণত সজনে গাছের পাতা থেকে । সজনে গাছের সবুজ পাতা কে
শুকিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে পাউডারজাত করা হয় । এই
পাউডারকে প্যাকেটজাত হিসেবে প্রেজার্ভ করে অত্র পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছে
দেওয়া হয় । সজনে গাছের রয়েছে অনেক ধরনের গুণ । সজনে গাছের পাতা , বীজ , ফল ,
ডাল সবগুলোতেই রয়েছে অলৌকিক গুনাগুন । এইজন্য এটিকে মিরাকেল ট্রি বলা হয় ।
মরিঙ্গ পটলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ বি সি এবং ই । তবে এর মূল উপাদান ধরা হয়
প্রোটিন । মরিঙ্গা গাছের ফলে ও বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন
। ক্যালসিয়াম আয়রন ও পটাশিয়াম এর সমৃদ্ধ একটি গাছ হল মরিঙ্গ গাছ । এছাড়া
এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এন টি ইনফ্লেমেটরি ।
মরিঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করার নয় । মরিঙ্গে পাউডার খেলে-
-
এটি দেহের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
-
এটি রক্তিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় যা শরীরকে সুস্থ করে তোলে
।
-
বিশেষ করে বৃদ্ধদের জন্য একটি উপকারী কারণ বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে এটি শরীরে
রক্ষা করে ।
-
দাঁত ও হার মজবুত করতে সহায়তা করে ।
-
মরিঙ্গা পাউডারের সবচেয়ে কার্যকর উপকারিতা হলো এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
সাহায্য করে অর্থাৎ ইনসুলিনের ব্যালেন্স ঠিক রাখে ।
-
চুল ও ত্বক সুস্থ করার মহা ঔষধ এই মরিঙ্গা পাউডার ।
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার সঠিক নিয়ম
বিভিন্নভাবে এই মনিকা পাউডার আপনাদের নিত্য দিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করতে
পারেন। যেমনঃ
-
সকালবেলা গরম পানির মধ্যে মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খেলে সারাদিন কাজ করা
এনার্জি পাওয়া যায় ।
-
হালকা গরম দুধের সাথে এক চামচ মরিঙ্গা পাউডার দুধের পুষ্টিগণ আরো বেশি
বাড়িয়ে তোলে ।
-
যেকোনো ধরনের খাবারের মধ্যে কিছু পরিমানে মনকে পাউডারের গুড়া ছিটিয়ে দিলে
খাবারের পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে যাবে
-
কুসুম গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে তার মধ্যে মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে অনেক
উপকার পাওয়া যায়।
মরিঙ্গা পাউডারের বিভিন্ন রেসিপি
একটি মরিঙ্গা পাউডার কি বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি
করা যেতে পারে যা কিনা হয় অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টি সম্পন্ন । চলুন
দেখেন নেওয়া যাক বিভিন্ন খাবারে বিভিন্ন উপায়ে মরিঙ্গা পাউডারের
কার্যকারিতা ঃ
মরিঙ্গা স্মুদি
এক কাপ গরুর দুধ এর সাথে কিছু পরিমাণ কাজু বাদাম , কলা , এক চামচ মরিঙ্গা
পাউডার , এক চামচ মধু একত্রে মিশিয়ে ব্লেন্ডার মেশিনে ভালো করে
ব্লেন্ড করে নিতে হবে । তবে এটির মধ্যে শুকনো উপকরণ বেশি থাকার কারণে এক কাপ
ঠান্ডা পানি মিশিয়ে দিতে হবে । অতঃপর গরমের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদ ও উপকারী
স্মুদি আপনার হাতে একদম তৈরি ।
মরিঙ্গা শরবত
একটি গ্লাসের মধ্যে ঠান্ডা পানি ঢেলে নিতে হবে । এরপর দুই ফালি লেবুর
রস ভালোভাবে দিয়ে দিতে হবে । সাথে এক চা চামচ মরিঙ্গা পাউডার ও এক চা চামচ
মধু অথবা এক চিমটি লবণ দিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু মরিঙ্গা শরবত ।
এই শরবত শরীরের খনিজের চাহিদা দূর করবে এবং গরমের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি
ফিরিয়ে নিয়ে আসবে । এটি শুধু সাধারণ শরবত নয় ভিটামিন সি এবং মরিঙ্গা এর
বিভিন্ন খনিজের সংমিশ্রণ । অর্থাৎ গরম থেকে রেহাই পাওয়া ও শরীরের সুস্থতা
উভয়ই একসাথে এই শরবতে আমরা পেয়ে যাব ।
মরিঙ্গা চা
প্রথমে একটি হাঁড়িতে এক কাপ পরিমাণ পানি নিয়ে তার চুলাতে ভালোভাবে ফুটিয়ে
নেব এবং সাথে এক টুকরো আদা ফেলে দেব । কিছুক্ষণ পানি ফুটার পরে এর
মধ্যে হালকা লিকারের জন্য হাফ চামচ এরকম চা এবং এক চা চামচ মরিঙ্গা পাউডার
মিশিয়ে নেব । অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মনিকা পাঠানোর মেশিনের সময় পানির
তাপমাত্রা যাতে কম থাকে । অতঃপর চা ছাকনিতে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে
আমাদের সকলের পছন্দের মরিঙ্গা চা ।
মরিঙ্গা প্যান কেক
হালকা নাস্তার জন্য প্যানকেক অত্যন্ত সুস্বাদু একটি খাবার তবে এর মধ্যে যদি আমরা
কিছু উপকারী উপকরণ মিশিয়ে তা পরিবারের সকলের জন্য তৈরি করে দিই তাহলে চমৎকার বা
না হয়। প্যানকেকের মধ্যে মরিঙ্গা খেতে অনেক সুস্বাদু ও উপকারী ।
প্রথমে একটি বড় বাটিতে একটি ডিম ফাটিয়ে নিতে হবে । এমন ভাবে টিমটিকে কাটা
চামচ দিয়ে নেড়ে এর সকল জরতা ছিন্ন করতে হবে । ডিমটি তরল পদার্থ রূপ ধারণ
করলে এর মধ্যে এক কাপ দুধ , এক চামচ বাটার , এক কাপ ময়দা , এক
চামচ মরিঙ্গা পাউডার , পরিমাণ মতো লবণ ও চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে
।
অতঃপর একটি প্রা ফ্রাইং প্যান চুলেতে বসিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে এবং এর উপরে
কিছু পরিমাণে বাটার লাগিয়ে এক চামচ তৈরিকৃত মিশ্রণটি ভালোভাবে ঢালতে হবে
। কিছুক্ষণ পরেই দেখা যাবে মিশ্রণটি শক্ত হয়ে আসছে । মিশ্রণটি শক্ত হয়ে
আসলে তা একবার ঘুরিয়ে নিয়ে দুই পিঠ ভালো করে সেকে নিতে হবে । অতঃপর এদিকে
আমরা পরিবার সকলের কাছে হানি সিরাপ এর সাথে পরিবেশন করতে পারি যা কি সুস্বাদু
নাস্তা হিসেবে ছোট থেকে বড় সকলেরই পছন্দের খাবার হয়ে উঠবে।
মরিঙ্গা লাচ্ছি
একটি ব্লেন্ডারের মধ্যে একগ্লাস ঠান্ডা দুধ , এক চামচ আইসক্রিম , এক
চামচ দই , এক চামচ মরিঙ্গা পাউডার , এক চামচ চিনি দিয়ে ভালো করে
ব্লেন্ড করলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার লাচ্ছি । এর সাথে কিছু পরিমাণে
বরফ যুক্ত করলে ঠান্ডা পরিমাণ একটু বেশি বেড়ে যাবে এবং খেতেও বেশি সুস্বাদু মনে
হবে ।
মরিঙ্গা স্যুপ
একটি ফ্যানের মধ্যে পানি নিয়ে সেখানে কিছু টুকরো মাংস , আদা , গোলমরিচ , কিছু
পরিমাণে সুস্বাদু পছন্দমত সবজি , পরিমাণ মতো চিনি ও লবণ , ও এক চামচ
মরিঙ্গা পাউডার দিয়ে যদি কিছুক্ষণ মাংসটিকে ফুটিয়ে জল দিয়ে নেওয়া হয় তাহলে
তৈরি হয়ে যাবে একটি সুস্বাস্থ্যের জন্য সকল উপাদানের একমাত্র সংমিশ্রণ মরিঙ্গা
সুপ ।
ওজন কমাতে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার সঠিক নিয়ম
ওজন কমানোর জন্য যেভাবে পরিশ্রম ও ব্যায়াম করতে হয় ঠিক সেইভাবে পরিশ্রমের সাথে
সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমেও আপনি আপনার ওজন অনেক দ্রুত এবং সঠিক উপায়ে কমই আনতে
পারবেন । চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ওজন কমাতে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার
নিয়ম সমূহ কাজ করে ঃ
ওজন কমানোর সময় মরিঙ্গা পাউডার গ্রহণ করার সর্বপ্রথম সময় জানতে হবে যে কোন সকল
সময় মনিকা পাউডার গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ হবে এবং সাথে ওজন
কমতে সাহায্য করবে । সেক্ষেত্রে প্রধানত তিনটি সময় মরিঙ্গা পাটের খাবার উপকারিতা
সর্বোচ্চ এবং তা হল ঃ
- সকালে খালি পেটে
- ব্যায়াম করার পূর্বে
- রাতে ঘুমানোর আগে
এই সময় মোরিংগা পাউডার খেলে বডিতে ডি অক্সিডাই হয় ফলে সকল বর্জ্য পদার্থ যা জমে
থাকে তা পরবর্তীতে খুব সহজে বের হয়ে যায় এবং শরীর সকল ধরনের খারাপ চর্বি এবং
দূষিত পদার্থ মুক্ত হয় ।
মুরগির পাটা খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে পালন করতে হবে যেমন অবশ্যই এটি পানির সাথে
অথবা পানীয় জাতীয় কিছু সাথে মিশিয়ে গ্রহণ করতে হবে যেমন প্রয়োজনে লেবুর পানির
সাথে অথবা কোন নদীর মধ্যে এক চামচ বোরিং এ পাউডার দিয়ে খেলে অনেকটাই উপকার
পাওয়া যায় তবে খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই অতিরিক্ত সাদা চিনি গ্রহণ করা যাবে না
কারণ এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ।
ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য মরিঙ্গা পাউডার
মরিঙ্গা পাউডারের রয়েছে অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান যার শরীরের মধ্যে সরকারের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তাছাড়াও ডায়াবেটিস রোগের মহা ঔষধ হিসেবে
মরিঙ্গাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় । মহিলা পাউডারের অবদান ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনে
গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে ঃ
-
রক্তে জমকৃত সকল শর্করা অথবা অতিরিক্ত শর্করাগুলো কমতে শুরু করে । ডায়াবেটিক
শরীরে খোদা নিয়ন্ত্রণ করে
-
শরীরের মধ্যে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায় যা বাড়িতে গ্রহণ করতে সকল শর্করা
খাদকে সঠিক সময় সঠিকভাবে হজম করতে সাহায্য করে
-
এটি একটি ফাইবার জাতীয় উপাদান সে ক্ষেত্রে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে পানি ধরে
রাখার ক্ষমতা রাখে এবং পাকস্থলী পুরস্কার রাখতে সহায়তা করে
ডায়াবেটিসের সাথে হৃদরোগের জন্যও মরিঙ্গা পাউডার বিশেষভাবে কাজ করে থাকে ।
যেমনঃ
-
এটি রক্তের মধ্যে কোলেস্টেরল কমায় যা হৃদরোগের আসল কারণ হিসেবে বিবেচিত।
-
রক্তের মধ্যে খারাপ শর্করা এবং চর্বি কমায় যা কিনা হার্ট এ কোনো রকম ব্লক
তৈরি করতে দেয় না।
-
শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ভূমিকা রাখে কারণটির মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে
ফাইবার এবং মিনারেল।
-
এটির হৃদ যন্ত্রের খেয়াল রাখে যেমন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে
দেয় ।
গর্ভবতী এবং অন্যান্য রোগের জন্য মরিঙ্গা
গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি একটি মহা ঔষধ বলেও বিবেচিত কেননা এতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন এ , সি , ই , ক্যালসিয়াম , আইরন ও প্রোটিন জানিনা একজন
গর্ভবতী মায়ের এবং নবজাতক শিশুদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।
মরিঙ্গা পাউডার আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে মা ও শিশুর রক্তশূন্যতা দূর করতে পারবে
। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা কিনা নবজাতক শিশুর হার ও হাড্ডি তো
ঈদের সহায়তা করবে এবং তা মজবুত করতে পারবে । ভিটামিন এ সি যেহেতু ইমিউনিটি
পাড়ায় সেক্ষেত্রে বাচ্চার সার্ভাইভ করার ক্ষমতা আরও বেশি বেড়ে যাবে ।
গর্ভবতী মায়েদের সাথে অন্যান্য রোগীদের জন্য এটি মহা ঔষধ থাকে যেমন ডায়াবেটিসের
ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে অথবা আমরা জানি নিয়ন্ত্রণ এবং কোলেস্টেরল
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে । তবে এটির একটি বিশেষ প্রভাব পড়ে কিডনি ও
লিভারের উপরে কেননা মরিঙ্গা পাউডার কিডনি ডিটাক্স করতে সাহায্য করে এবং প্রসাব
কারক হিসেবেও কাজ করে থাকে
অতিরিক্ত মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার কুফল
খাদ্য হোক অথবা পথ্য কোনটিরই শরীরের জন্য অতিরিক্ত সুফল না নিয়ে কুফল বই
নিয়ে আসতে পারে । অবশ্যই শরীরে যে কোন জিনিস গ্রহণ করানোর পূর্বে এর পরিমাণ
এর সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে । প্রতিটি শরীরের গ্রহণ ক্ষমতা নির্দিষ্ট
পরিমাণে থাকে সেক্ষেত্রে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রত্যেক বছর শিশুদের মহিলা
পাউডার সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে না হলে বিপদ হতে পারে । যেমনঃ
-
অতিরিক্ত খেলে শরীরের মধ্যে হরমোনের ইমব্যালেন্স তৈরি হতে পারে যা কিনা শরীরের
অন্য কার্যক্রম করতে বাধা দিতে পারবে ।
-
অতিরিক্ত মনে পড়ার খেলে কি লিভার ও কিডনিতে যা পড়তে পারে সেক্ষেত্রে
মূত্রস্বল্পতা অথবা মূত্র বেশি হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়
-
এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি কত সমস্যা থাকতে
পারে সেক্ষেত্রে প্রথমে অল্প কিছু পরিমাণে খেয়ে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে
গ্রহণ করা যেতে পারে
-
ডায়াবেটিস অথবা হৃদরোগীদের জন্য এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে ডোজ এর ওপর
অবশ্যই অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে শরীরে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ করে কমে যেতে পারে
অথবা রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে যেতে পারে যা শরীরকে নিস্তেজ করে দেয় এবং মৃত্যুর
মুখে ঢেলে ফেলতে পারে
ভালো মানের মরিঙ্গা পাউডার কিনার গোপন টিপস
এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের মরিঙ্গা পাউডার পাওয়া যায় তবে কিছু দুষ্ট
ব্যবসায়ীরা রয়েছে যারা বেশি লাভের আশায় পাউডারে ভেজাল মিশিয়ে বেশি আয় করতে
চায় । ভেজালযুক্ত যে কোন খাবারই শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ।
ভেজালের জন্য শরীরে পাকস্থলীতে সমস্যা কিডনিতে পাথর এবং রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে
এবং ধীরে ধীরে এর উপরে আপনার ভরসা কমে যাবে কিন্তু বোঝা যাবে না আসল সমস্যা
মরিঙ্গা পাউডারে নয় বরং এর মধ্যে মেশানো ভেজালে রয়েছে । চলুন কিছু টিপস
জেনে নেওয়া যাক কিভাবে সঠিক মরিঙ্গা পড়ার বাছাই করবেন-
-
মরিঙ্গা পাউডারের রং হবে সবুজ হালকা ঘাসের মতো । যদি দেখেন এটি রং অতিরিক্ত
গারো সবুজ অথবা ধূসর রঙের মতো রয়েছে তবে বুঝে যাবেন এটি আসল মরিঙ্গা পাউডার
নয় ।
-
মরিঙ্গা পাউডারের ওজন হয় অনেক হালকা এবং মিহি দানাযুক্ত । দানাগুলো ভারী এবং
বড় হলে সেটি কখনো কিনবেন না ।
-
মরিঙ্গা পাউডারের গন্ধ যাচাই করুন কারণ এটিতে প্রকৃত পাতার মতো একটা হালকা
গন্ধ থাকবে । যদি কোন আকর্ষণীয় গন্ধ পান তবে এটি নকল পাউডার ।
-
পাউডারের প্যাকেজিং এর গায়ে এর এক্সপায়ার ডেট , লেভেল , কোন
প্রিজারভেটিভ যুক্ত আছে কিনা ভালোভাবে চেক করে নিন ।
-
প্যাকেজিং গায়ে আগুন এক্স সার্টিফিকেট প্রাপ্ত আছে কিনা ভালো করে যাচাই করুন
।
-
এক চামচ মরিঙ্গা পাউডার পানির মধ্যে দিয়ে ঘুরে দেখুন যদি দেখেন পানির তলানি
জমছে অথবা পানির ওপরে দানাদার অংশ ভেসে আসছে তবে বুঝে যাবেন এটির মধ্যে
সম্পূর্ণ ভেজাল মেশানো রয়েছে ।
-
অবশ্যই চেষ্টা করবেন কোন ভাল এবং পরিচিত ব্র্যান্ড থেকে কেনার । যার
বিশ্বস্ততার গ্যারান্টি তারা দিয়ে থাকে ।
শেষ কথাঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার হল সুপার ফুড । এটি আমাদের শরীরের একটি অক্সিডেন্টের ঘাটতি পূরণ
করে এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ভিটামিন ও আয়রন এজন্য আমাদের দেহের
অনেক ধরনের গাঠনিক সমস্যার সমাধানও হয়ে যেতে পারে এই মরিঙ্গের পাউডার এর দ্বারা
। তাছাড়া আমরা উপরোক্ত বিষয়গুলোতে জানতে পেরেছি কিভাবে সঠিক উপায়ে
মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহার করার মাধ্যমে ওজন কমানো যায় ।
তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে অতিরিক্ত পরিমাণে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যাবেনা
। একেকজনের শরীরের বিভিন্ন রকম রোগবালায় তারা আক্রান্ত থাকতে পারে যে
মরিঙ্গা পাউডারের বিপরীতে কাজ করতে পারে । যদি বিশেষ কোনো রোগে শরীরের
আক্রান্ত থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই পাউডার গ্রহণ করতে হবে
। তবে সুস্থ শারীরিক অবস্থার জন্য মরিঙ্গা পাউডারের কোন খারাপ প্রতিক্রিয়া
নেই বলেই চলে । সঠিক ডোজ শরীরে আরো উন্নত করে তুলবে । সুস্থ থাকুন ,
ভালো থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url